অনেক সময় দেখা যায়, তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ গবেষণা পেপার খুবই সাধারণ বা ভুল জার্নালে পাবলিশ করা হয়। এতে করে গবেষকদের কোন রকম ক্রেডিট হয় না বরং ক্ষতিই হয় বেশি। গবেষণা ও গবেষকদের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এটা সাধারণত নতুন গবেষকদের ক্ষেত্রেই বেশি হয়ে থাকে। সচেতনতার অভাব কিংবা সঠিক জার্নাল বাছাই না করার কারনেই এমনটি হয়। একটি গবেষণা পেপার বা ম্যানুস্ক্রিপ্ট লেখার পর অবশ্যই তা যেনতেন জার্নালে পাবলিশ করা উচিৎ না। আসলে কেন আমরা গবেষণা পেপার পাবলিশ করি! সবার আগে আমাদের এটা জানা জরুরি। অনেক মেধা, শ্রম, অর্থের বিনিময়ে প্রাপ্ত গবেষণা ফলাফল কেন আমরা পাবলিশ করি! আমাদের পেপারের আল্টিমেট রিডার (Ultimate reader) কে বা কারা?
সঠিক জার্নাল বাছাইকরণঃ
এতে করে সময় নষ্ট হবে এবং সর্বোপরি প্রত্যাখিত (Rejected) হবার সম্ভাবনাই বেশি থেকে যায়। তাই পেপার ড্রাফট রেডি করার পর উপযুক্ত জার্নাল বেঁছে নেয়া খুব জরুরি। আপনি নিচে দেয়া তিনটি লিঙ্ক এর যেকোন একটি ব্যবহার করে খুব সহজেই
বেঁছে নিতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত জার্নালটি। লিংকগুলোতে গিয়ে আপনার পেপারের টাইটেল (Title) এবং সারাংশ (Abstract) লিখে সার্চ করলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট সব জার্নাল, জার্নালের র্যাঙ্কিং, ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর, এক্সেপ্টেন্স রেইট, ফার্স্ট ডিসিশনের জন্য কত সময় লাগে, এবং পাবলিশ করার জন্য কত সময় লাগবে সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন। এসব তথ্যের ভিত্তিতে আপনি খুব সহজেই সঠিক জার্নালটি বেঁছে নিতে পারবেন।
১. Elsevier Journal Finder (https://journalfinder.elsevier.com/)
২. Springer Journal Suggester (https://journalsuggester.springer.com/)
৩. Wiley Journal Finder (https://journalfinder.wiley.com/)
আপনারা দরকার হয় তিনটি সাইট দেখেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, কোন জার্নালে আপনার গবেষণা পেপারটি সাবমিট করবেন। আশা করছি, আজকের আলোচনাটি আপনাদের কাজে লাগবে। আপনারা অবশ্যই আপনাদের মতামত কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
- কোন কোন জার্নালে পাবলিকেশন করবো বা করা উচিৎ?
- প্রকাশিত আর্টিকেল থেকে কীভাবে ইমেজ, গ্রাফ বা টেবিল ব্যবহার করবেন?
- প্রিডেটরি পাবলিশিং | প্রতারণামূলক প্রকাশনা | Predatory Publishing
- কিভাবে গবেষণা পেপার লিখবো? | How to write a research paper?