রিভিউ পেপার লেখার নামে আমরা প্রায়ই যে কাজটা করে থাকিঃ অনেক
গুলো প্রাসঙ্গিক (relevant/related) পেপার পড়ে তার একটা সারাংশ লিখি। যা আসলে রিভিউ
পেপার না বরং থিসিস লিটারেচার কিংবা ম্যাগাজিন আর্টিকেল হয়। শুরুতেই একটা কথা জেনে
রাখা ভালো, আমরা কখন লিখবো রিভিউ পেপার বা কখন লিখা উচিৎ। কোন একটি বিষয়ে বিস্তর গবেষণালব্ধ
জ্ঞান থাকলে অর্থাৎ উক্ত বিষয়ে আপনি পুরোপুরি পারদর্শী হলেই কেবল রিভিউ করতে পারবেন
বা করা উচিৎ। নচেৎ ভুল বা অসমাপ্ত বা আধাআধি রিভিউ হবে। ভালো জার্নালে পাবলিশ করতে
হলে আপনাকে অবশ্যই বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে।
গুলো প্রাসঙ্গিক (relevant/related) পেপার পড়ে তার একটা সারাংশ লিখি। যা আসলে রিভিউ
পেপার না বরং থিসিস লিটারেচার কিংবা ম্যাগাজিন আর্টিকেল হয়। শুরুতেই একটা কথা জেনে
রাখা ভালো, আমরা কখন লিখবো রিভিউ পেপার বা কখন লিখা উচিৎ। কোন একটি বিষয়ে বিস্তর গবেষণালব্ধ
জ্ঞান থাকলে অর্থাৎ উক্ত বিষয়ে আপনি পুরোপুরি পারদর্শী হলেই কেবল রিভিউ করতে পারবেন
বা করা উচিৎ। নচেৎ ভুল বা অসমাপ্ত বা আধাআধি রিভিউ হবে। ভালো জার্নালে পাবলিশ করতে
হলে আপনাকে অবশ্যই বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে।
সাধারণত রিভিউ পেপার লিখার আগে উক্ত বিষয়ে/ফিল্ডে রিসার্চ
পেপার পাবলিশ করা ভালো বা প্রয়োজন। পাবলিকেশনের ক্ষেত্রেও একটা ক্রম বা ধারা মেনে চলা
হয় সচারচর। যেমনঃ শুরুতেই কনফারেন্স/গবেষণা পেপার এবং তারপর রিভিউ পেপার/বুক চ্যাপ্টার/বুক
লিখতে হয়। ধরেই নিলাম আপনি অনেক সময় দিয়ে, অনেক শ্রম দিয়ে একটি রিভিউ পেপার লিখলেন
এবং ভালো কোন একটা জার্নালে সাবমিট করলেন। আপনার লিখা রিভিউ পেপারটি পাবলিশ হবার চান্স
কতটুকু? সত্যি বলতে চান্স অনেক কম। জার্নাল এডিটর আপনার লিখা রিভিউয়ার-কে পাঠানোর আগে
নিজে একবার পড়ে নিবে এবং সেই সাথে আপনার প্রোফাইল (গুগল স্কোলার/রিসার্চগেইট/সাইন্স
ডিরেক্ট/অরকিড/একাডেমিয়া ইত্যাদি) দেখবে; আপনার আগের কোন কাজ আছে কিনা এই বিষয়ে। যদি
থাকে এবং এডিটরের প্রাথমিক পড়াতে ভালো লাগে তাহলেই সে আপনার লিখা রিভিউয়ার-কে পাঠাবে।
পেপার পাবলিশ করা ভালো বা প্রয়োজন। পাবলিকেশনের ক্ষেত্রেও একটা ক্রম বা ধারা মেনে চলা
হয় সচারচর। যেমনঃ শুরুতেই কনফারেন্স/গবেষণা পেপার এবং তারপর রিভিউ পেপার/বুক চ্যাপ্টার/বুক
লিখতে হয়। ধরেই নিলাম আপনি অনেক সময় দিয়ে, অনেক শ্রম দিয়ে একটি রিভিউ পেপার লিখলেন
এবং ভালো কোন একটা জার্নালে সাবমিট করলেন। আপনার লিখা রিভিউ পেপারটি পাবলিশ হবার চান্স
কতটুকু? সত্যি বলতে চান্স অনেক কম। জার্নাল এডিটর আপনার লিখা রিভিউয়ার-কে পাঠানোর আগে
নিজে একবার পড়ে নিবে এবং সেই সাথে আপনার প্রোফাইল (গুগল স্কোলার/রিসার্চগেইট/সাইন্স
ডিরেক্ট/অরকিড/একাডেমিয়া ইত্যাদি) দেখবে; আপনার আগের কোন কাজ আছে কিনা এই বিষয়ে। যদি
থাকে এবং এডিটরের প্রাথমিক পড়াতে ভালো লাগে তাহলেই সে আপনার লিখা রিভিউয়ার-কে পাঠাবে।
এবার আসুন দেখে নেই, কিভাবে রিভিউ পেপার লিখতে হয় বা কি কি
বিষয় খেয়াল রাখতে হয় রিভিউ পেপার লিখার সময়। শুরুতেই যেটা মনে রাখতে হবে, সাম্প্রতিক
পেপার গুলোর উপর রিভিউ করতে হবে যেমনঃ যদি এখন কেউ রিভিউ পেপার লিখে তাহলে অন্তত ২০১৫-২০২০
সালের মধ্যে প্রকাশিত পেপারের উপর রিভিউ করলে ভালো। সাম্প্রতিক এই পেপার গুলোর তথ্য-উপাত্ত
বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে আপনাকে বের করতে হবে, এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কি কি (বা কতটুকু)
কাজ হয়েছে এবং কি কি কাজ হতে পারতো কিন্তু এখনো হয়নি। এটা করার জন্য আপনাকে খুব ভালো
করে ইতিমধ্যে প্রকাশিত পেপার গুলো বিশ্লেষণ করতে হবে। আর তা করার জন্য আপনার উক্ত বিষয়ে
পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাই বলা হয়, শুরুতেই রিভিউ পেপার না বরং উক্ত বিষয়ে গবেষণা
করা এবং গবেষণা পেপার পাবলিশ করা।
বিষয় খেয়াল রাখতে হয় রিভিউ পেপার লিখার সময়। শুরুতেই যেটা মনে রাখতে হবে, সাম্প্রতিক
পেপার গুলোর উপর রিভিউ করতে হবে যেমনঃ যদি এখন কেউ রিভিউ পেপার লিখে তাহলে অন্তত ২০১৫-২০২০
সালের মধ্যে প্রকাশিত পেপারের উপর রিভিউ করলে ভালো। সাম্প্রতিক এই পেপার গুলোর তথ্য-উপাত্ত
বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে আপনাকে বের করতে হবে, এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কি কি (বা কতটুকু)
কাজ হয়েছে এবং কি কি কাজ হতে পারতো কিন্তু এখনো হয়নি। এটা করার জন্য আপনাকে খুব ভালো
করে ইতিমধ্যে প্রকাশিত পেপার গুলো বিশ্লেষণ করতে হবে। আর তা করার জন্য আপনার উক্ত বিষয়ে
পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাই বলা হয়, শুরুতেই রিভিউ পেপার না বরং উক্ত বিষয়ে গবেষণা
করা এবং গবেষণা পেপার পাবলিশ করা।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবেঃ কেবলমাত্র সাম্প্রতিক
সময়ে প্রকাশিত পেপার গুলো বিশ্লেষণ করলেই চলবে না বরং রিভিউ পেপারে আপনার গবেষণাও সংযুক্ত
করবেন। এতে করে আপনার এবং অন্যান্য গবেষকদের কাজের মধ্যে একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণও
হয়ে যাবে। শুধুমাত্র অন্যের কাজের সারাংশ করলে তা আসলে রিভিউ পেপার হয় না। মনে রাখবেন,
রিভিউ পেপার মানে হল একটি বিশেষজ্ঞ মতামত। আপনি যদি কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন, তাহলেই
কেবল রিভিউ করতে পারবেন। আরেকটি কথা, যদি এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কোন রিভিউ পেপার পাবলিশ
হয়ে থাকে, তাহলে সেগুলোর থেকে আপনার রিভিউটা কিভাবে ভিন্ন, আপনার রিভিউর বিশেষত্ব কি
তা সুন্দর করে উপস্থাপন করতে হবে।
সময়ে প্রকাশিত পেপার গুলো বিশ্লেষণ করলেই চলবে না বরং রিভিউ পেপারে আপনার গবেষণাও সংযুক্ত
করবেন। এতে করে আপনার এবং অন্যান্য গবেষকদের কাজের মধ্যে একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণও
হয়ে যাবে। শুধুমাত্র অন্যের কাজের সারাংশ করলে তা আসলে রিভিউ পেপার হয় না। মনে রাখবেন,
রিভিউ পেপার মানে হল একটি বিশেষজ্ঞ মতামত। আপনি যদি কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন, তাহলেই
কেবল রিভিউ করতে পারবেন। আরেকটি কথা, যদি এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কোন রিভিউ পেপার পাবলিশ
হয়ে থাকে, তাহলে সেগুলোর থেকে আপনার রিভিউটা কিভাবে ভিন্ন, আপনার রিভিউর বিশেষত্ব কি
তা সুন্দর করে উপস্থাপন করতে হবে।
রিভিউ পেপারের সাইজঃ মোট কত শব্দ বিশিষ্ট হতে হয় একটি রিভিউ
পেপার, Introduction এ কতগুলো শব্দ হবে, মোট কতটি রেফারেন্স ইত্যাদি??? যদিও ফিক্সড
কোন সংখ্যা নেই যে এত গুলোই হতে হবে, তবে একটি ভালো মানের রিভিউ পেপারে ৮০০০-১২০০০
শব্দ থাকে, তন্মধ্যে ৮০০-১০০০ শব্দ Introduction এ থাকবে। আর যদি রেফারেন্সের কথা বলি
তাহলে মোট ২২০-৪০০টি রেফারেন্স হয় সাধারণত একটি ভাল মানের রিভিউ পেপারে।
পেপার, Introduction এ কতগুলো শব্দ হবে, মোট কতটি রেফারেন্স ইত্যাদি??? যদিও ফিক্সড
কোন সংখ্যা নেই যে এত গুলোই হতে হবে, তবে একটি ভালো মানের রিভিউ পেপারে ৮০০০-১২০০০
শব্দ থাকে, তন্মধ্যে ৮০০-১০০০ শব্দ Introduction এ থাকবে। আর যদি রেফারেন্সের কথা বলি
তাহলে মোট ২২০-৪০০টি রেফারেন্স হয় সাধারণত একটি ভাল মানের রিভিউ পেপারে।
এখন কথা হচ্ছে, আমরা তো আমাদের আশেপাশে অনেক রিভিউ পেপার
দেখতে পাই, যেগুলোতে উপরোক্ত বিষয় গুলো মেনে চলা হয়নি কিন্তু পাবলিশ করা হয়ে গেছে।
সেক্ষেত্রে দেখতে হবে, জার্নালের কোয়ালিটি কি, কোন জার্নালে পাবলিশ হয়েছে, ওগুলো কি
আসলেই রিসার্চ জার্নাল নাকি কোন ম্যাগাজিন! বর্তমানে প্রকাশনী ব্যবসা একটি বড় এবং লাভজনক
ব্যবসা। ইন্টারনেটে এমন অনেক ধরনের প্রিডেটরি জার্নাল পাওয়া যাবে, যেগুলো আসলেই কোন
গবেষণা প্রকাশনী নয় বরং কমার্সিয়াল প্রকাশনী। এসব জার্নালের লক্ষ্য উদ্দেশ্য টাকা উপার্জন
ছাড়া আর কিছুই না। আপনারা হয়তো প্রায়ই ইমেইল পেয়ে থাকেন বিভিন্ন জার্নাল থেকে পেপার
সাবমিট করার জন্য। তারা আপনাকে সার্টিফিকেট দিবে, তাদের ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর ইত্যাদি
ইত্যাদি অফার করে। এসব জার্নাল মূলত প্রিডেটরি জার্নাল। এসবে কখনই পেপার পাবলিশ করবেন
না।
দেখতে পাই, যেগুলোতে উপরোক্ত বিষয় গুলো মেনে চলা হয়নি কিন্তু পাবলিশ করা হয়ে গেছে।
সেক্ষেত্রে দেখতে হবে, জার্নালের কোয়ালিটি কি, কোন জার্নালে পাবলিশ হয়েছে, ওগুলো কি
আসলেই রিসার্চ জার্নাল নাকি কোন ম্যাগাজিন! বর্তমানে প্রকাশনী ব্যবসা একটি বড় এবং লাভজনক
ব্যবসা। ইন্টারনেটে এমন অনেক ধরনের প্রিডেটরি জার্নাল পাওয়া যাবে, যেগুলো আসলেই কোন
গবেষণা প্রকাশনী নয় বরং কমার্সিয়াল প্রকাশনী। এসব জার্নালের লক্ষ্য উদ্দেশ্য টাকা উপার্জন
ছাড়া আর কিছুই না। আপনারা হয়তো প্রায়ই ইমেইল পেয়ে থাকেন বিভিন্ন জার্নাল থেকে পেপার
সাবমিট করার জন্য। তারা আপনাকে সার্টিফিকেট দিবে, তাদের ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর ইত্যাদি
ইত্যাদি অফার করে। এসব জার্নাল মূলত প্রিডেটরি জার্নাল। এসবে কখনই পেপার পাবলিশ করবেন
না।
উপরোক্ত আলোচনায় হয়তো আপনাদের মনে একটা প্রশ্ন বার বার উঁকি
দিচ্ছেঃ তাহলে ভালো জার্নাল কোন গুলো, কোন জার্নালে আমাদের রিভিউ পাবলিশ করা উচিৎ,
অথবা কোন কোন জার্নালে আমাদের পাবলিশ করা উচিৎ হবে না???
দিচ্ছেঃ তাহলে ভালো জার্নাল কোন গুলো, কোন জার্নালে আমাদের রিভিউ পাবলিশ করা উচিৎ,
অথবা কোন কোন জার্নালে আমাদের পাবলিশ করা উচিৎ হবে না???
২। যে যে জার্নালে পাবলিশ করবো নাঃ https://www.texpedi.com/2020/06/predatory-publishing.html
Texpedi.com