ব্যাংক জব প্রিপারেশন | সরকারি ব্যাংকের প্রিপারেশন!

Md Mayeen Uddin, BBA

Dept. of International Business, University of Dhaka.

জব সিকিউরিটি, ইনসেন্টিভ, পেনশন সুবিধা, হাউজ বিল্ডিং লোন সুবিধা, এক্সিকিউটিভ কার লোন সুবিধা ইত্যাদি কারণে অনেকেই সরকারি ব্যাংকে চাকরি করতে চান। তাছাড়া যোগ্যতা থাকার পরও অনেকে প্রাইভেট ব্যাংকে এক্সাম দেয়ারই সুযোগ পান না। তাই সকলের জন্য একটি কমন চাকরির প্ল্যাটফর্ম হলো সরকারি ব্যাংক। তাই এখানে তুলনামূলক প্রতিযোগিতাও একটু বেশি’ ই হয়। সবগুলো সরকারি ব্যাংক ছাড়াও পূবালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক সাধারণত একই ধরনের প্রশ্নের প্যাটার্নে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে থাকে।

 আবেদনঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের জব সাইটে সবগুলো সরকারি ব্যাংকের আবেদন নেওয়া হয়। গত কয়েক বছর ধরে এক সাথে কয়েকটি ব্যাংকের আবেদন নেওয়া হয়ে থাকে। প্রথমে সিনিয়র অফিসার, এরপর অফিসার এবং অফিসার ক্যাশে আবেদন নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক পরীক্ষা এবং নিয়োগও সেই সিরিয়ালে’ ই দেওয়ার চেষ্টা করে।

 আবেদনের যোগ্যতাঃ যেকোনো বিষয়ে ৪ বছরের অনার্স থাকতে হবে। এস.এস.সি, এইচ.এস.সি এবং স্নাতকের যে কোনো একটিতে প্রথম শ্রেণী থাকতে হয়, তবে কোন পরীক্ষায় ৩য় শ্রেণী থাকলে আবেদন করার সুযোগ থাকে না। আবেদন করার জন্য সাধারণত ১ মাস সময় দেওয়া হয়।

 আবেদন স্ক্রিনিংঃ আবেদন করার পর ভুয়া ছবি/সিগনেচার/তথ্য দিয়ে আবেদনকারীদের আবেদন স্ক্রিনিং করে থাকে। তবে যদি কেউ সঠিক ছবি, সিগনেচার এবং তথ্য দিয়ে আবেদন করে থাকে তাহলে তাকে বাদ পরার কোন সম্ভাবনা নেই।

 প্রবেশপত্রঃ আবেদন শেষ হওয়ার ৩ মাস পর সাধারণত অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করার নোটিশ দেওয়া হয়। অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সাধারণত ২০ দিন সময় দেওয়া হয়।

 টেন্ডারঃ অ্যাডমিট ডাউনলোড করার সময় শেষ হওয়ার পর যতজন প্রার্থী অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করেছেন তাদের জন্য পরীক্ষার আয়োজন করতে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। বর্তমানে সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টি, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজনেস ফ্যাকাল্টি এবং আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় টেন্ডার জমা দিয়ে থাকে। তবে শেষ কয়েক বছরে সবচেয়ে বেশি টেন্ডার পেয়েছে আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া ঢাবির আর্টস ফ্যাকাল্টিও বেশ কয়েকটি এক্সামের দায়িত্ব পেয়েছিল।

ব্যাংক জব প্রিপারেশন | সরকারি ব্যাংকের প্রিপারেশন!

** প্রিলিমিনারী পরীক্ষাঃ

টেন্ডার যে’ই পেয়ে থাকুক, টেন্ডার পাওয়ার মোটামুটি ৩ মাসের মধ্যে এক্সামের আয়োজন করে থাকে। প্রথমেই থাকে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা, সময় থাকে ১ ঘন্টা। যে পরীক্ষার কোন সিলেবাস নেই। বিশাল সংখ্যক প্রার্থী থেকে পদের সংখ্যা অনুযায়ী সীমিত সংখ্যক প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়ার জন্য এই পরীক্ষা নিয়ে থাকে। সাধারণত কমবাইন্ড সার্কুলারগুলোতে প্রতিটি পরীক্ষায় +/- ২০ হাজার প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য সুযোগ দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরীক্ষায় +/- ১০ হাজার প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়। এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, ম্যাথ, সাধারণ জ্ঞান এবং কম্পিউটার জ্ঞান থেকে ৮০/১০০ টি প্রশ্ন থাকে এবং মোট নম্বর থাকে ১০০।

তবে সর্বশেষ কয়েক বছর ধরে ৮০ টি প্রশ্নে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১.২৫ মার্কস। আমি মনে করি, সব সময় প্রথমে বাংলা, তারপর সাধারণ জ্ঞান এবং কম্পিউটার, তারপর ইংরেজি এবং সর্বশেষে ম্যাথ উত্তর করলে ভালো হয়। কারণ ম্যাথ করতে একটু বেশি সময় লাগে তাই প্রথম ২৫/৩০ মিনিটে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান, কম্পিউটার উত্তর করে ফেলতে পারলে বাকি ৩০/৩৫ মিনিটে ম্যাথ উত্তর করাটা সহজ হয়। তাছাড়া একটি ম্যাথে যেই নম্বর অন্য প্রশ্নগুলোতেও কিন্তু একই নম্বর। কিন্তু একটি ম্যাথ সমাধান করতে যে সময় লাগে সেই সময়ে প্রায় ৪/৫ টা সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নের উত্তর করে ফেলা যায়। নেগেটিভ মার্কস না থাকলে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আর নেগেটিভ মার্কস থাকলে শুধুমাত্র উত্তর জানা থাকলে কিংবা ৫০/৫০ সম্ভাবনা থাকলে সেসব প্রশ্নের উত্তর করা উচিত।

০১. এমসিকিউ পরীক্ষায় সাধারণত নেগেটিভ মার্কিং থাকে না, যদি কোন পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কস থাকে সেটা প্রশ্ন/ওএমআর সীটের নির্দেশিকায় উল্লেখ থাকবে। তবে নেগেটিভ মার্ক থাকুক বা না থাকুক এমসিকিউতে পাশ করার জন্য ৫৫-৬০ টি সঠিক প্রশ্নের উত্তর করতে পারলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারবেন। এমসিকিউ পরীক্ষা হওয়ার ৭-১০ দিনের মধ্যেই সাধারণত রেজাল্ট পাবলিশ করা হয় এবং রিটেনের তারিখ দিয়ে দেওয়া হয়।

** পরীক্ষার মানবন্টনঃ

  • বাংলা- ২০
  • ইংরেজি- ২০
  • গনিত- ৩০
  • সাধারণ জ্ঞান- ২০
  • কম্পিউটার জ্ঞান- ১০

০২. এই পার্টে ভালো করতে হলে অবশ্যই বিগত সালের প্রশ্নগুলো প্রথমে সমাধান করতে হবে। যারা প্রিপারেশনের শুরুর দিকে আছেন তাদেরকে বলব বিশেষ করে ম্যাথ এবং ইংরেজির বেসিক স্ট্রং করেন। ইংরেজি এবং ম্যাথ ব্যাংকের চাকরির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বেসিক শক্ত করতে পারলে রিটেনেও অনেক কাজে দিবে। ম্যাথ কখনো শর্টকাট শিখতে যাবেন না, সব সময় বুঝে করতে হবে। অনুশীলন করতে করতে এমনিতেই আপনার মাথায় শর্টকাট চলে আসবে৷ কিন্তু প্রথমে শর্টকাট শিখতে গেলে বেসিক দুর্বল হয়ে যাবে, জানা জিনিসও ভুল করবেন।

বাংলা, সাধারণ জ্ঞান এবং কম্পিউটারে ভালো করার জন্য বিগত সালের প্রশ্নগুলো সমাধান করে সেগুলো বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী প্রিপারেশন নিতে পারেন। শুধু বিগত সালের প্রশ্নগুলো সমাধান করলেও ৫০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে এক্সামের এক সপ্তাহ আগে থেকে যে প্রতিষ্ঠান এক্সাম নিবে শুধু সে প্রতিষ্ঠানের বিগত সময়ে নেওয়া পরীক্ষার প্রশ্নগুলো সমাধান করবেন। ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে জানতে পারবেন কোন প্রতিষ্ঠান এক্সাম নিবে। বিগত সালের প্রশ্ন থেকে অনেক প্রশ্ন রিপিট হয়ে থাকে।

 

** লিখিত পরীক্ষাঃ

যারা প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ করবেন তাদেরকে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে, সময় থাকবে ২ ঘন্টা। ২ ঘন্টায় অনেক কিছু লিখতে হয় বলে বাসায় বসেই আপনাকে আগে সময় বন্টন করে নিতে হবে, আপনি ফোকাস রাইটিং এর জন্য কতক্ষণ সময় দিবেন, ম্যাথের জন্য কতক্ষণ সময় দিবেন তা আগেই ঠিক করে নিতে হবে। তবে আমি বলব সবসময় প্রথমে ম্যাথ দিয়ে শুরু করবেন, তারপর প্যাসেজ, তারপর পত্র/দরখাস্ত, তারপর ফোকাস রাইটিং, এবং সর্বশেষ অনুবাদ লিখবেন। অনুবাদের মধ্যে ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ আগে লিখবেন এবং বাংলা থেকে ইংরেজি ট্রান্সলেশন লিখবেন সর্বশেষে; কারণ, এটা লিখতে একটু বেশি সময় লাগে। তবে যার যেই বিষয়ে জ্ঞান ভালো তিনি সে বিষয় দিয়েই শুরু করতে পারেন।

০১. লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি এবং ম্যাথের উপর সাধারণত প্রশ্ন হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরীক্ষায় অনেক সময় শর্ট নোট/টিকা, অ্যানালিটিকাল অ্যাবিলিটির উপর ২৫/৩০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। এই পরীক্ষায় সাধারণত দুইটি অনুবাদ থাকে, দুইটি ফোকাস রাইটিং থাকে, পত্র/দরখাস্ত থাকে, একটি প্যাসেজ থাকে এবং ৫/৭ টি ম্যাথ থাকে।

০২. বাংলা থেকে ইংরেজি এবং ইংরেজি থেকে বাংলা দুইটি অনুবাদে সাধারণত ১৫ করে ৩০ নম্বর অথবা ২০ করে ৪০ নম্বর থাকে। কখনো আক্ষরিক অনুবাদ করতে যাবেন না, সবসময় ভাবানুবাদ করতে চেষ্টা করবেন। এই পার্টে ভালো করতে হলে অবশ্যই অনেক বেশি অনুশীলন প্রয়োজন। এখানে ভালো করতে পারলে ম্যাথের মতো নম্বর পাওয়া যায়। অনুবাদ লেখার জন্য সাধারণত ১২/১৩ মিনিট করে ২৪/২৫ মিনিট সময় রাখবেন।

০৩. বাংলা ফোকাস রাইটিং এবং ইংরেজি ফোকাস রাইটিং/ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং এই দুইটি বিষয় মূলত সাম্প্রতিক কোন একটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত লিখতে হয়। প্রতিটির জন্য ২০/৩০ নম্বর করে থাকে, অর্থাৎ শুধু ফোকাস রাইটিং এ ৫০/৬০ নম্বর থাকে। এখানে ভালো করতে হলে অবশ্যই দৈনিক পত্রিকা এবং সম্পাদকীয় অংশ ভালোভাবে পড়তে হবে এবং একটি খাতায় আলাদা নোট করে রাখতে হবে। সাম্প্রতিক ইস্যু বিবেচনায় “করোনাভাইরাস মহামারীঃ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব” এই রকম বিষয়ে ফোকাস রাইটিং আসতে পারে।

সাধারণত অর্থনীতি, পরিবেশ এবং বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে লিখতে বলা হয়। তবে ইদানীং গতানুগতিক বিষয়ে ফোকাস রাইটিং আসে। তাই সবধরনের প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। লেখার সময় অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠ লেখা লিখতে হবে, তথ্যনির্ভর লেখা এবং গুছিয়ে কম লিখলেও ভালো নম্বর পাওয়া যায়। ২/৩ পৃষ্টা লেখাই যথেষ্ট। তবে দুইটি ফোকাস রাইটিং লেখার জন্য ১২+১৩ মিনিট, অর্থাৎ মোট ২৫ মিনিট সময় দিবেন।

 ০৪. প্রতিটি পরীক্ষায় একটি প্যাসেজ থাকে এবং এর উপর ৪/৫ টি প্রশ্ন থাকে। প্যাসেজের আলোকে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হয়। এখানে, সাধারণত ২০ নম্বর থাকে। এই পার্টে ভালো করতে হলে প্যাসেজের আলোকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। নিজের ভাষায় কিন্তু প্যাসেজ থেকে হুবহু কপি করা যাবে না। বেসিক ভালো হলে বেশি পরিশ্রম করতে হবে না, শুধু পরীক্ষার আগে বিগত সালের কিছু প্যাসেজ অনুশীলন করলেই হবে। তবে এই পার্টেও ভালো নম্বর তোলার সুযোগ থাকে। ২/৩ লাইনে প্রশ্নের উত্তর শেষ করার চেষ্টা করবেন, বেশি লিখলে সময় নষ্ট হবে এবং যিনি খাতা দেখবেন তিনিও বিরক্ত হতে পারেন। আর প্যাসেজের প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য ১০ মিনিট সময় রাখবেন।

০৫. পরীক্ষায় বাংলা/ইংরেজি পত্র/দরখাস্ত/প্রতিবেদন আসে। এটাতে সাধারণত ১৫/২০ নম্বর থাকে। এটাতে ভালো করার জন্য ফরম্যাটটি ভালো করে আয়ত্ত করতে হবে এবং বস্তুনিষ্ঠ লিখতে হবে। ফরম্যাট ঠিক করে লিখলেই মোটামুটি অর্ধেক নম্বর পাওয়া যায়, আর ভালো লিখতে পারলে ৭০/৮০ ভাগ নম্বর পাওয়া সম্ভব। এই পার্টে ১০ মিনিট সময় দিবেন।

০৬. সর্বশেষ ম্যাথ, যা সরকারি ব্যাংকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ! এই পার্টে ৫/৭ টি ম্যাথ থাকে, নম্বর থাকে ৫০-৭০ নম্বর। ম্যাথের সমাধান ঠিক হলে পুরো নম্বর আর ভুল হলে জিরো পাবেন। তাই এই পার্টে অবশ্যই ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। সবগুলো ম্যাথ সঠিকভাবে সমাধান করতে পারলে বাকি অংশগুলো মোটামুটি লিখতে পারলেও চাকরি পাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। আবার ম্যাথ ৩/৪ টা পারলে এবং বাকিগুলো খুব ভালোভাবে লিখতে পারলেও চাকরি পাওয়া সম্ভব। এই পার্টে ভালো করতে হলে অবশ্যই অনেক বেশি অনুশীলন করতে হবে।

প্রতিদিন কমপক্ষে ২ ঘন্টা ম্যাথ প্র‍্যাক্টিস করতে হবে। পারলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বই দিয়ে শুরু করবেন এবং সর্বশেষ ৯ম/১০ম শ্রেনীর ম্যাথ বই দিয়ে শেষ করবেন। এতে করে আপনার বেসিক অনেক শক্ত হবে। যেকোন বই/ওয়েবসাইট থেকে ম্যাথ আসলেও আপনাকে আটকাতে পারবে না। বেসিক শক্ত হয়ে গেলে বাজারের অন্য বইগুলো/ওয়েবসাইট থেকে ম্যাথ অনুশীলন করবেন। ম্যাথ করার জন্য ৫০ মিনিট সময় রাখবেন।

** ভাইভা পরীক্ষাঃ

লিখিত পরীক্ষা শেষে সাধারণত ২/৩ মাসের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী মোট পদের সংখ্যার ৩/৪ গুণ প্রার্থীকে ভাইভার জন্য ডাকা হয়। সাধারণত যারা ১১০/১১৫ নম্বর পান তারাই ভাইভা দেওয়ার সুযোগ পান। তবে চাকরি পেতে হলে অবশ্যই লিখিত পরীক্ষায় এগিয়ে থাকতে হবে। ১২৫/১৩০ নম্বর পেলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভাইভাতে থাকে ২৫ নম্বর। শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভায় প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেরিট লিস্ট তৈরি করা হয়। তাই এমসিকিউ পরীক্ষায় কত পেয়ে পাশ করেছেন সেটা কোন বিষয়’ ই না।

তবে অনেক সময় ভাইভায় ভালো নম্বর তুলতে পারলে সেটা লিখিত পরীক্ষার নম্বরকে কিছুটা ব্যাকআপ দেয়। তাই ভাইভা পরীক্ষার জন্যও ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। ফর্মাল পোশাকে যেতে হবে, বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন করা হয় অনেক বেশি তাই সেগুলোর উপর পড়াশোনা করে যেতে হবে, তাছাড়া দেশের অর্থনীতি, সাম্প্রতিক ইস্যু, বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, নিজ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি নিয়ে পড়াশোনা করে যেতে হবে। ভাইভাতে ভালো করতে পারলে ২২/২৩ নম্বর পর্যন্ত পাওয়া যায়।

** চুড়ান্ত নিয়োগঃ

ভাইভা এবং লিখিত পরীক্ষার মোট নম্বরের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক মেধা তালিকা তৈরি করে থাকে। বর্তমানে ২০১৯ সালের পর থেকে হওয়া কোন সার্কুলারে কোটা না থাকায় এখন পুরোপুরি মেধার ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হয়।

Texpedi.com

Leave a Comment